মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

সাবেক এমপি ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির মৃত্যু

তরফ নিউজ ডেস্ক : সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর গত চারদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বাপ্পি।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে তার ছোট ভাই  লেফটেন্যান্ট কর্নেল বাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করা বাপ্পির ৪৯তম জন্মবার্ষিকী ছিল গত মঙ্গলবার। তখন তিনি লাইফ সাপোর্টে, অচেতন।

তার অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তার স্বামী শেখ রফিক। সেখানে তিনি স্ত্রীর জন্য সবার দোয়া চেয়েছিলেন।

পেশায় আইনজীবী বাপ্পি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ২০০৭-০৮ সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে দলের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ যখন ‘সংস্কারের’ কথা বলছিলেন, বাপ্পি ছিলেন শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্যে অনড়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এক সময় সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেছেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর সংরক্ষিত নারী আসন ৫টি বাড়ানো হলে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নবম সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন বাপ্পি।

পরে দশম সংসদেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরের বছর ৪ মে গৃহীত হয় একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিতে শাস্তির জন্য আইন করার একটি প্রস্তাব। দুটি প্রস্তাবই সংসদে তুলেছিলেন সাংসদ বাপ্পি।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল বাছির বলেন, জানাজা ও দাফনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়গুলো ঠিক হলে পরে জানিয়ে দেবেন তারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com